চলার পথ - (Onindo ) অনিন্দ্য

(Onindo ) অনিন্দ্য

ক্ষুদ্র মনের আকুতির প্রকাশ

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

চলার পথ

ছোটবেলা থেকে বড়দা ও দিদিই আমার প্রিয় বন্ধু ছিলো। একসময় দিদির বিয়ে হয়ে যায়। বড়দাই প্রিয় বন্ধু হয়। আমার পড়াশুনোর জন্য অনেক প্রচেষ্টা ছিলো। অনেক ধরণের বই কিনে দিতো। শিশু পত্রিকায় ঘর ভরে গিয়েছিলো। দাদা সরকারী চাকুরে ও একজন সাংবাদিক। তার লিখালিখি আমার দারুণ পছন্দ ছিলো ছোটবেলায়।
"মা" সরকারী স্কুলের শিক্ষকতা করার পাশাপাশি লিখতেন, এখনো লেখেন। শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের "সৎসঙ্গ সংবাদ" পত্রিকায়। বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন। সব সময় ঘরকে লাইব্রেরী করে রাখতেন। ছোড়দা কে জ্ঞান হতেই পাশে পাইনি। ও'র ছিলো জ্ঞান অন্বেষণের প্রবল আকুতি।
যখন বরিশালের হাতেম আলী কলেজে পড়তো, মায়ের কাছে শুনেছি বিছানা- বালিশ সব মামার বাসায় রেখেছিলো। এরপর নিজের চেষ্টায় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করলো। বন্ধুকে প্রক্সি দিতে গিয়ে নিজেই বি,সি,এস এ (এস,এম,ও) হয়। একসময়ে দাদা প্রমোশন হয়ে বরিশালের কৃষি অফিসে অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা পদ পান।
কিন্তু ভাগ্য বিপর্যয়! দাদা আমাদের সবাইকে, বউদি ও ছোট ছেলেকে ফেলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। আমরা সবাই আমৃত্যু ব্যথিত হৃদয়। মা বহুদিন অসুস্থ ছিলেন । বউদি তার একমাত্র ছেলেকে এবং থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন। খুব অদ্ভুত এই জীবন টা! ছোট্ট তবুও পাওয়া না পাওয়ার যন্ত্রণা ঘিরে থাকে সবসময়।
কেন এমন হয়? কেউ সব পায়! কেউ পায় না। কেউ পেয়ে হারায়! কেউ থাকে অট্টালিকায়, গাছ তলায় আবার কেউ বা রাস্তায়! কত বিভেদ পাওয়া না পাওয়ার যন্ত্রণায়। আজ যদি আমার বাবা, দাদা এ পৃথিবীতে থাকতো? কত ভালো হতো! কত আনন্দ হতো! জীবন টা আরো মধুর হতো। অপাংক্তেয় হতো না এই চলার পথ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রাজনীতির রাক্ষস

রাজ্যোন্নয়নের রীতিনীতি রাজনীতি, বাস্তবে বাংলাদেশে বড় বেদনাদায়ক! রাষ্ট্রের রক্ষায় রাজনীতি, নাকি নষ্টের নিয়মনীতি? কেবা কবে কষ্টের কথাগু...

Post Top Ad

Your Ad Spot